৪-০ স্কোরবোর্ডের লক্ষ্যেই রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শাসকদল। ৩০ অক্টোবর ভোটগ্রহণের পরও তৃণমূল নেতৃত্ব আশাবাদী ছিল, চার আসনেই বিরোধীদের দুরমুশ করে ফের বিধায়কের কুর্সিতে বসবেন তাঁদেরই প্রার্থীরা। আর ২ নভেম্বর, মঙ্গলবার ভোটগণনার শুরু থেকে দেখা গেল, তৃণমূলের প্রত্যাশামতোই এগোচ্ছে স্কোরবোর্ড। চারটি কেন্দ্রেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের সেনাপতিরা।
উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগেই চমক। ভোটগণনা কয়েক ধাপ এগোতে নজর কাড়ল মূলত দুটি বিষয়। প্রথমত, মাত্র ৬ মাসের মধ্যে দিনহাটা কেন্দ্রের ভোটারদের মতবদল। এবার তাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে ফের পেতে চাইছেন এলাকার দীর্ঘদিনের নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহকে। তাই গোড়া থেকেই হাজার হাজার ভোটে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন। সপ্তম রাউন্ড শেষে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তাঁর ভোটপ্রাপ্তির ব্যবধান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজারেরও বেশি। উপনির্বাচনে এই পারফরম্যান্স চিরাচরিত অঙ্কের বাইরেই। সকাল ১০ টা বাজতেই না বাজতেই তাই দিনহাটায় উৎসবের মেজাজ। সবুজ আবির নিয়ে খেলায় মেতেছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। মাস ছয় আগেও চিত্রটি অন্য ছিল। একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের কাছে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন তৃণমূলের উদয়ন গুহ।
ভোটগণনার দিন দ্বিতীয় চমকটি হল, খড়দহে বামেদের লড়াই। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ ভাল লড়াই করছেন তরুণ সিপিএম প্রার্থী তথা যুবনেতা দেবজ্যোতি দাস। তৃতীয় রাউন্ড গণনার পর দেখা গেল, বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে পিছনে ফেলে স্কোরবোর্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন দেবজ্যোতি। যদিও প্রথম আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ভালই।
ভাল পারফরম্যান্সের পথে এগোচ্ছেন গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। তুলনায় নবীন এই নেতাও সপ্তম রাউন্ডের শেষে ৭৬ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। এছাড়া শান্তিপুরেও ব্রজকিশোর গোস্বামী বড় ব্যবধানেই এগোচ্ছেন। সকালেই ইঙ্গিত মিলে গেল, গোটা দিনটা কেমন যাবে। বোঝা গেল, স্কোরবোর্ডে ৪-০ লেখায় আর প্রায় কোনও সংশয়ই থাকছে না।