রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শেষ। চার আসনেই বিরাট ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। আর উপনির্বাচনের ভোটগণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরভোটের তৎপরতা শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। সব ঠিক থাকলে, দীপাবলী ও ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার পরেই বাংলায় পুরভোটের দামামা বেজে উঠতে চলেছে। সূত্রের খবর, ফের করোনা সংক্রমণের দাপট না বাড়লে বড়দিনের আগেই, আগামী ১৯শে ডিসেম্বর, রবিবার কলকাতার ১৪৪টি ও হাওড়ার ৬৬টি ওয়ার্ডে ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। দুই কর্পোরেশনের ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ২২শে ডিসেম্বর, বুধবার। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা সেরে ফেলল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “ডিসেম্বরেই পুরভোট ধরে নিয়ে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে পুর ও নগরন্নোয়নের দপ্তরের।”
দুর্গাপুজোর ছুটির আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চার বিধানসভার উপনির্বাচন মিটলেই বকেয়া পুরভোট সেরে ফেলা হবে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখনই, যেদিনই ১১২টি পুরসভার ভোট ঘোষণা করুক না কেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।” মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত মতো উপনির্বাচন মিটতেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্বাচন সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েও করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় লকডাউন ঘোষণার জেরে ২০২০ সালের মার্চে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন কলকাতার পুরভোট স্থগিত করে দেয়। নির্বাচন বকেয়া থাকা অন্য পুরসভাগুলির সঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ায় পুরপ্রশাসক বসিয়ে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয় রাজ্য সরকার। বিরোধীরা প্রথমে হাই কোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত অতিমারীর সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত পুরভোট স্থগিত করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেয়।