ঠিক ছ’মাস আগে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে কান ঘেঁষে জয় পেয়েছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু রাজ্যে ২০০-র বেশি আসনে জিতে তৃণমূল মসনদ নিশ্চিত করে ফেলতেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাংসদই রয়ে যান তিনি। ফলে দিনহাটায় উপনির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর উপনির্বাচনের বাঁশি বাজতে না বাজতেই এক লক্ষের বেশি ব্যবধানে জিতবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন নিশীথের কাছে মাত্র ৫৭ ভোটে হারা উদয়ন গুহ। ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা গেল ফলতে শুরু করেছে দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থীর মুখের কথা। হ্যাঁ, এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে উদয়নের মার্জিন লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর থেকেও স্পষ্ট যে অমিত শাহের ডেপুটি অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের পাড়াতে মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে বিজেপি।
অনেকের মতে, লোকসভার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ সরকারদের বিজেপি প্রার্থী করেছিল অনেক কিছু ভেবে। এক, সরকার হলে তাঁদের মন্ত্রী করা হতে পারে। দুই, তাঁরা যদি না দাঁড়ান তাহলে নির্দিষ্ট কিছু আসনে জয় পাওয়া মুশকিল। নিশীথ, জগন্নাথদের কেন্দ্রওয়াড়ি সেই আন্দাজ মিললেও বিজেপির সার্বিক হিসেবে জল ঢেলে দিয়েছিল তৃণমূল। তারপরই ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখিয়ে সাকুল্যে ৭৭ পাওয়া বিজেপি নিশীথ, জগন্নাথদের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে লোকসভার সাংসদ হিসেবেই থাকতে বলে। কারণ তা না হলে আবার লোকসভায় উপনির্বাচন হতো। আসলে বিজেপি এটা বুঝেছিল, ২১৩ নিয়ে তৃতীয় বার সরকারে ফেরা তৃণমূলের সামনে লোকসভা আসন ধরে রাখা মুশকিল।