কথা দিয়েও কথা রাখল না কেন্দ্র। এমনই অভিযোগ রেশন ডিলার তথা অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। অক্টোবরেই বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা অর্থাৎ বিনামূল্যে রেশন পাঠানো। তাতে ক্ষুব্ধ রেশন ডিলাররা। খাদ্যশস্য পাঠানো এবং প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। চিঠির কপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, খাদ্য ও খাদ্যবণ্টন বিভাগের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফেয়ার প্রাইস শপের প্রধান পরামর্শদাতা, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে।
করোনা আবহে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে বিনামূল্যে রেশন বণ্টনের ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’র আওতায় প্রতিটি রাজ্যে ছোলা, চিনির মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হচ্ছিল। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। যদিও বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিনামূল্যে রেশন চালু করেছে আগেই। ‘অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনা’ প্রকল্পে প্রতি পরিবার নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল, আটা পেয়ে থাকে প্রত্যেক মাসে। তবে কেন্দ্রীয় খাদ্য যোজনায় বিনামূল্যে রেশনের খাদ্যসামগ্রী ন্যায্য পাওনার মধ্যেই পড়ে।
গত বছর করোনা পরিস্থিতিতেও একই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। তখনও অক্টোবরের পর থেকে হিসেবনিকেশের গন্ডগোলের জেরে আচমকা খাদ্যশস্য পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। এ নিয়ে সেসময়ও জটিলতা তৈরি হয়। পরে ফের রাজ্যের খাদ্যদফতরকে নতুন করে হিসেব পাঠাতে হয়। তারপর ফের রেশন চালু করে খাদ্য ও খাদ্যবণ্টন মন্ত্রক। এবছরও তারই পুনরাবৃত্তি।
তবে এবার ঠিক কী কারণে অক্টোবর পর্যন্তই খাদ্যসামগ্রী পাঠানো বন্ধ হল দিল্লী থেকে, সে বিষয়ে অন্ধকারে রেশন ডিলাররা। তাঁদের হিসেব অনুযায়ী, যে পরিমাণ রেশন মজুত আছে, তাতে অক্টোবরের জন্য বকেয়া খাদ্যসামগ্রীই দেওয়া সম্ভব। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে ডিলারদের আবেদন, প্রতিশ্রুতি রেখে অন্তত নভেম্বরের রেশনটা পাঠাক কেন্দ্র। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ৬ মাসের জন্য।