জাতপাতের কারণে এবার খোদ মোদীর রাজ্য গুজরাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এক শিক্ষককে! ৫০ বছর বয়সি ওই স্কুলশিক্ষক তফসিলি জাতিভু্ক্ত বাল্মিকী সম্প্রদায়ের। রাজ্যের সুরেন্দ্রনগর জেলার যে গ্রামের স্কুলে তিনি পড়ান, সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি ভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত, গ্রামে বাল্মিকীদের থাকার কোনও জায়গা নেই। তাই তিনি ওখানে কোনও বাড়ি পাবেন না। বাধ্য হয়ে রোজ ১৫০ কিমি সাইকেলে আসা যাওয়া করেন তিনি।
এহেন চরম ভেদাভেদের খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দফতর গত সপ্তাহে চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে স্বীকার করেছে, তফসিলি জাতিভুক্ত বলেই ওই শিক্ষককে নির্যাতন, বৈষম্য, অসাম্য ও জাতপাতের শিকার হতে হয়েছে। সমাজকল্যাণ দফতরের নির্দেশ, যত শীঘ্র সম্ভব তাঁকে বদলি করুক শিক্ষা দফতর।
কানহাইয়ালাল বারাইয়া নামে শিক্ষক থাকেন সুরেন্দ্রনগরের চুড়া তালুকের ছতরিওয়ালা গ্রামে। তাঁকে বদলি করা হয় ওখান থেকে ৭৫ কিমি দূরে জেলারই নিনামা গ্রামের স্কুলে। বারাইয়া জানিয়েছেন, তিনি স্কুলে রিপোর্ট করে ভাড়াবাড়ির খোঁজ করেন। কোন জাতের লোক, জানতে চাওয়া হয় আমার কাছে। বাল্মিকী সম্প্রদায় বলা মাত্রই জানিয়ে দেওয়া হয়, গ্রামে কোনও বাল্মিকী ঘর নেই, তাই কোনও বাড়ি ভাড়া পাব না আমি!
গ্রামের তালাতি ও সরপঞ্চ অর্থাৎ নির্বাচিত প্রশাসকরা তাঁকে পঞ্চায়েতের সরকারি লেটারহেডে এটা জানিয়ে দেন। সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দফতরে অভিযোগ করার পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকেও সব জানিয়ে এর বিহিত চান, তাঁকে বদলির আবেদন করেন। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের দলিত অধিকার আন্দোলন কর্মীদের দাবি, এমন বৈষম্যর হাত থেকে এখন শিক্ষকরাও বাদ যাচ্ছেন না, এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক।