গোটা সুন্দরবন তন্নতন্ন করে খুঁজে ফেলেছিল কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পুলিশের বিরাট বাহিনীও। কিন্তু গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডের মূল পাণ্ডা ভিকির টিকি পাচ্ছিল না কলকাতা পুলিশ। অবশেষে বড়সড় সাফল্য পেল লালবাজার।
সোমবার মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হল ভিকি হালদারকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরএক শাগরেদ শুভঙ্কর মণ্ডলকেও। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এই দু’জনকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে মুম্বইতে।
তা থেকেই পুলিশ প্রাথমিক আন্দাজ পায়, যারা খুন করেছিল তারা ট্রেনে করে পালিয়েছে। এরপরই খোঁজ মেলে আয়া মিঠু হালদারের। এক এক করে সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার চলছিল। কিন্তু ভিকিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ঘটনার পক্ষকাল পেরিয়ে যাওয়ার পর ভিকিকে ধরল কলকাতা পুলিশ।
এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত ভিকির মা মিঠু এবং আরও তিন জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মিঠুকে জেরা করে জাহির গাজি এবং বাপি মণ্ডল নামে আরও দু’জনের খোঁজ মেলে। তার পরই ভিকিদের খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দল। সেখানে ভিকিকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে মুম্বই থেকে পাওয়া গেল ভিকিকে।
প্রথম ৪৮ ঘণ্টা গড়িয়াহাট জোড়া খুনের কিনারা করতে ব্যাপক ধন্দের মধ্যে পড়তে হয়েছিল লালবাজারের দুঁদে অফিসারদের। এরপর গন্ধ শুঁকে পুলিশ কুকুর প্রাথমিক আভাস দেয়। কাঁকুলিয়া রোডের সেই অভিশপ্ত বাড়ি থেকে পুলিশ কুকুর ছুট দেয় বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পাক খেয়ে ফের ওই বাড়িতে ফিরে আসে স্নিফার ডগ।