জল্পনা ছিল তালিবানের অন্তর কলহে মৃত্যু হয়েছে তালিবানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। অগাস্টে তালিবান আফগানিস্থানে ক্ষমতা দখলের পর শোনা গিয়েছিল এই আখুন্দজাদাই শেষ কথা বলবেন তালিবান সরকারে।
তবে তিনি থাকবেন কান্দাহারে। তালিবান ক্ষমতায় আসার পরই প্রচার থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন আখুন্দজাদা। এবার রবিবার আচমকাই জনসমক্ষে চলে এলেন সেই নেতা।
‘আমির উল মুমেনিন’ আখুন্দজাদাকে রবিবার দেখা গিয়েছে অন্য এক তালিবান নেতার সঙ্গে। কান্দাহারে জামিয়া দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদ্রাসা প্রদর্শনে এসেছিলেন তিনি।
এমনটাই জানিয়েছে এক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা। ২০১৬ সালে দলের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদে আসেন আখুন্দজাদা। আফগানিস্থানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আখুন্দজাদাকেই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলে ঘোষণা করা হয়।
ক্ষমতায় আসার পর একাধিক দেশে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে তালিবান। রাশিয়া-সহ প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের একাধিক দেশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তালিবান নেতাদের সঙ্গে ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের আধিকারিকরা।
ফলে কোনও কোনও মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আইএসআইয়ের কারসাজিতেই বেপাত্তা আখুন্দজাদা। সম্প্রতি এক তালিবান নেতা জানিয়েও দেন,পাক বাহিনীর ষড়যন্ত্রে গত বছর এক হামলায় নিহত হয়েছেন আখুন্দজাদা। সেই কথাও যে ঠিক নয় তা স্পষ্ট হয়ে গেল এবার।
আফগানিস্তানের মাটি থেকে ন্যাটো বাহিনী চলে গেলেও জনসমক্ষে আসেননি আখুন্দজাদা। কোনও বিবৃতিও তিনি দেননি। ফলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে একটা জল্পনা ছিল সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে আখুন্দজাদার। রবিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটল।