গোয়ায় তিনদিনের সফর সেরে সদ্যই কলকাতায় ফিরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বাইরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম রাজনৈতিক সফর। স্থির হয়ে গিয়েছে পরবর্তী সফরসূচীও। আগামী ডিসেম্বরে ত্রিপুরা যাবেন দলনেত্রী। রবিবার আগরতলার রবীন্দ্রভবনের জনসভা থেকে একথা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ত্রিপুরার বিবেকানন্দ ময়দানে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ও তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু করেছে তৃণমূল। নিয়মিত সে রাজ্যের মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। বারবার হামলার মুখেও পড়ছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও লড়াই জারি রেখে একাধিক কর্মসূচী পালন করছেন। ত্রিপুরার লড়াইয়ে ছাত্র-যুবদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে দিয়েছেন অভিষেককে। তিনিই সেনাপতি। আর তাঁর সঙ্গে দলের অভিজ্ঞ-বর্ষীয়ান পাঁচ নেতা – কুণাল ঘোষ, মলয় ঘটক, শান্তনু সেন, ব্রাত্য বসু, সমীর চক্রবর্তী। প্রত্যেকেই পালা করে করে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন, দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে সংগঠনের কাজ দেখভাল করছেন।
প্রসঙ্গত, এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও একাধিকবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন রেখেছিলেন, কবে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি। উত্তরে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলেননি নেত্রী। প্রয়োজনে যাবেন, সে কথাই বারবার উল্লেখ করেছিলেন। এবার অবশ্য সেই সময় প্রায় আসন্ন। রবিবার আগরতলার রবীন্দ্রভবনের সভা থেকে অভিষেক বিপ্লব দেবের উদ্দেশে স্পষ্ট ঘোষণা করলেন, “বিপ্লববাবু, আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে। ডিসেম্বরেই ত্রিপুরায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিবেকানন্দ ময়দানে সভা করবেন। পারলে আটকান।” বিবেকানন্দ ময়দান ত্রিপুরার অন্যতম বড় সভাস্থল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার পরিকল্পনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।