রবিবার ত্রিপুরার আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ঝরে পড়ল আত্মবিশ্বাসের সুর। “কাল কোর্টে জিতেছি, এর পর ভোটে জিতব!” এভাবেই বিপ্লব দেবের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্ববারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ছুটির দিনেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হল বিপ্লব দেবের সরকারকে। এদিন রবীন্দ্র ভবনের পাশের সভা মঞ্চে বক্তৃতা করতে উঠে আগাগোড়াই ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে এক এক করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, গোয়ায় তিন মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার তৈরি হবে। আর ত্রিপুরায় মানুষের সমর্থন আমাদের দিকে। মানুষের ভালোবাসাকে পাথেয় করে, মমতার ছবি মাথায় নিয়ে ত্রিপুরায় ২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার প্রতিষ্ঠা করবে তৃণমূল। অভিষেকের সংযুক্তি, “কাল কোর্টে জিতেছি, এর পর ভোটে জিতব। একমাত্র মমতাই পারেন এদের শিক্ষা দিতে।” পাশাপাশি অভিষেক আরও বলেন, “করোনার থেকেও বিপজ্জনক বিজেপি। তাই বিজেপির টিকা একটাই, সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডবল ডোজ দিতে হবে। পুর ভোটে প্রথম ডোজ, তার পর ১৩ মাস পরে বিধানসভা ভোটের সময় দ্বিতীয় ডোজ।”
প্রসঙ্গত, এদিনের সভা নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় যে কাজিয়া হয়েছে, তার নেপথ্যে বিপ্লব দেবের প্রশাসন রয়েছে বলে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “২০১৬ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর এখানেই সভা করে গিয়েছিলাম, আমার মনে আছে। কিন্তু দুই সভার মধ্যে পার্থক্য কী? গতবার বহু মানুষ এসেছিলেন, কিন্তু এবার মাত্র ৫০০ লোক। ৫০০ মানুষ হয়তো সশরীরে, কিন্তু আমি জানি, ২০ লক্ষ মানুষ বাড়িতে বসে সভা শুনছেন। ছুটির দিনেই বিপ্লব বাবুর ছুটি হয়ে গেল।” তিনি আরও বলেন, “আমাকে এত ভয় কেন বিপ্লববাবু? আমি তো আপনার চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট। আমাকে শাস্তি দিতে গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করছেন। কেন মানুষকে সমস্যার মধ্যে ফেলছেন?” অভিষেক এও জানান, তৃণমূল চাইলে এখনই একের পর এক বিজেপি বিধায়ককে দলে টানতে পারে। তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে সবার যোগাযোগ আছে। একটা সুইচ টিপলেই বিজেপি ভেঙে ১৫ জন বিধায়ক চলে আসবেন আমাদের দিকে। কিন্তু আমরা সেটা চাই না। ২০২৩ সালে বিজেপিকে উপড়ে ফেলাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আমরা সফল হবই। মনে রাখবেন, ত্রিপুরার মানুষ যে দিন নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন, সে দিনই বিজেপি খতম।”