অবশেষে ফুরোল জল্পনা। দলত্যাগের ঠিক ৯ মাসের মাথায় তৃণমূলে ফিরলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ত্রিপুরার আগরতলায় রবীন্দ্রভবনের সভামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে ঘর ওয়াপসি হল প্রাক্তন মন্ত্রীর। দলত্যাগের জন্য জনমক্ষে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন তিনি। বললেন, “আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত, ভুল স্বীকার করছি।” রবিবার দুপুরে সবুজ পাঞ্জাবি পরে হোটেল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আগরতলার সভার উদ্দেশে রওনা হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেইসময় বিশেষ কিছুই বলতে চাননি রাজীব। জানিয়েছেন, সভামঞ্চেই সবটা জানাবেন তিনি। ঠিক তেমনটাই করলেন। সভামঞ্চে প্রকাশ্যে বারবার নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন। বললেন, “অভিমানে ভুল করেছিলাম। রাগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই সময় অভিষেক আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি শুনিনি। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। যেদিন বুঝতে পেরেছি, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। আজকে আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত।”
পাশাপাশি ত্রিপুরার সভা থেকে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি সব সময় বিদ্বেষ মূলক কথা বলে। আমি বারবার বলেছি, ব্যক্তিগত আক্রমণ কোনওদিন বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। এই রাজনীতিতে বাংলার মানুষ মানবেন না।” তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভেই নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তাঁর কোনওটাই ফলপ্রসূ হত না। সব মিলিয়ে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভও অসন্তোষ উগরে দিলেন রাজীব। এদিনই তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। উল্লেখ্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবারই পৌঁছে গিয়েছিলেন আগরতলায়। তবে প্রকাশ্যে আসেননি। দেখাও যায়নি। তবে রাজনৈতিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, রবিবার আগরতলার সভাতেই তৃণমূলে যোগ দেবেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, যেহেতু ত্রিপুরার গত ভোটেও রাজীব তৃণমূলের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাই আগরতলার মাটিতেই তিনি অভিষেকের হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফিরতে চান। ঠিক তেমনই হল। অভিষেকের হাত ধরেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটল রাজীবের।