একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ভোটে ভরাডুবি হয় বিজেপির। ডোমজুড়ে নিজেও হেরে যান তিনি। তারপর থেকেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের কানাঘুষোও শোনা যাচ্ছিল। শেষমেশ রবিবার সত্যি হতে চলেছে সেই জল্পনা। ত্রিপুরায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা হাইকোর্টের অনুমতি পেয়ে রবিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সেই সভায় ত্রিপুরার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেবেন। যিনি দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই কলকাতায় এসে ন্যাড়া হয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে বিজেপি ছেড়ে দেন। আশিসের পাশাপাশি সেই সভা থেকেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন রাজীব। অভিষেকের হাত থেকেই তৃণমূলের পতাকা তুলে নেবেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের মাসদুয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও নিজের কেন্দ্র ডোমজুড়ে জিততে পারেননি রাজীব। যে আসনে পাঁচ বছর আগে হাসতে-হাসতে জিতেছিলেন, সেই আসনেই পর্যুদস্ত হন। তারপর থেকেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ শুরু হয় রাজীবের। বিজেপির অবস্থানের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার বার্তাও দেন রাজীব। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে বিজেপি যখন সুর চড়াচ্ছে, সেই সময় ফেসবুক পোস্টে রাজীব লেখেন, “সমালোচনা তো অনেক হল। মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা কতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লী, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবেন না। আমাদের সকলের উচিত, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস – এই দুই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন রাজীব। তবে রাজীবের সেই প্রত্যাবর্তন নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। সূত্রের খবর, বিশেষত অরূপ রায় এবং ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ একেবারে রাজীবকে দলে নেওয়ার বিরোধিতা করেন। রাজীবকে দলে নেওয়ার বিরোধিতার বিক্ষোভ দেখান ডোমজুড়ের তৃণমূলকর্মীরাও।