খোদ মোদী রাজ্য গুজরাতে মন্দিরে ঢোকার ‘অপরাধে’ নিগ্রহের শিকার হতে হল এক দলিত পরিবারের ছয় জনকে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই অবশেষে ঘটনার তিন দিন পর ৫ অভিযুক্তকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। কচ্ছের বাচাউ জেলার এই ঘটনায় ২০ জন কাঠগড়ায়।
নিগৃহীত পরিবারের অভিযোগ, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই হামলা হয়েছে। স্থানীয় উৎসব উপলক্ষে স্থানীয় রাম মন্দিরে প্রবেশের অপরাধেই এই মারধর।‘ পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলার ঘটনায় দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ৬ জনের ভুজের একটি হসাপাতালে চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকের মাথায় এবং দেহের অন্য অংশে ধারালো অস্ত্রে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা প্রথমে চাষের জমিতে গবাদি পশু ঢুকিয়ে শস্য নষ্ট করেছে। তারপর আক্রান্তদের বাড়িতে জোর করে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।
এই ঘটনায় আক্রান্ত গোবিন্দ বাঘেলার অভিযোগ, ‘ওদের প্রশ্ন কেন প্রতিষ্ঠান পর্ব চলার সময় আমরা মন্দিরে ঢুকেছি? আমাদের ফোন কেড়ে নিয়ে, আমার অটো আটকে রাখে। যাতে আমরা কোনওভাবেই সাহায্য চাইতে না পারে। তারপরেই অভিযুক্তরা হুমকি দেয় গ্রামে গিয়ে আমাদের একজনের বাবাকে খুন করবে। এর মধ্যেই পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।‘