করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শিগগিরই কলকাতার পুরভোট হবে বলে শুক্রবার ফের জানিয়ে দিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার ১৯ ডিসেম্বর, রবিবারই কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগরে পুরভোট করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। যেহেতু নভেম্বরে এক মাসব্যাপী ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হচ্ছে তাই প্রশাসনের একাংশ জানুয়ারির মাঝামাঝি কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট করার পক্ষে।
শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৩ এবং রাজ্যে মোট সংক্রমিত ৯৮২। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার সংক্রমণ হার প্রায় একই রয়েছে। বস্তুত এই কারণে এদিন বিজয়া সম্মিলনীর সভাতেও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের সংক্রমণ রুখতে শপিং মল থেকে বাজার, দোকান – সর্বত্র মাস্ক বাধ্যতামূলক করার উপর জোর দেন ফিরহাদ হাকিম।
শুধু তাই নয়, বকেয়া উন্নয়নের কাজ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলরদের। বিজয়া সম্মিলনীতে ছিলেন সাংসদ মালা রায়, ডাঃ শান্তনু সেন, তিন বিধায়ক অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার ও পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রতন দে, স্বপন সমাদ্দার প্রমুখ।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভার বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে ফিরহাদ বলেন, “যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও করোনার জন্যই পুরভোট করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুজোর পর কোভিড সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে, দৈনিক ২০০ উপরে যাচ্ছে। তবে অধিকাংশই উপসর্গহীন ও তীব্রতা প্রায় নেই। তাই যদি সবাই মাস্ক পরে, আরটিপিসিআর পরীক্ষা দিয়ে শনাক্ত করে তবে সংক্রমণ ফের একশোর নিচে চলে যাবে। আর সংক্রমণ কম থাকলে শিগগিরই আমাদের বকেয়া পুরভোটটা হয়ে যাবে।”
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পরই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন শেষ হলে বকেয়া পুরভোট সম্পূর্ণ করে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। এদিন অবশ্য ফিরহাদ কলকাতায় পুরভোট নিয়ে কোনও সময়ের কথা উল্লেখ করেননি।