এ যেন মগের মুলুক! ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে যোগী রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলে ও অন্যান্য সরকারি অফিসে চাকরি পেয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ! হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগের তদন্তে তৈরি হয়েছে পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম। আর তাদের ধারণা, দুই উপাচার্য ভুয়ো ডিগ্রি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকতে পারেন। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত মহাত্মা গান্ধী রাষ্ট্রীয় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রজনীশ কুমার শুক্লা এবং চাইবাসায় কলহন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গঙ্গাধর পাণ্ডা। এছাড়া আরও ১৯ জন ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে উল্লেখ করেছে সিট।
অধ্যাপক শুক্লা ২০১৯ সালের এপ্রিলে উপাচার্যের পদে নিযুক্ত হয়েছেন। অধ্যাপক পাণ্ডা নিযুক্ত হয়েছেন ২০২০ সালের মে মাসে। অভিযোগ, ভুয়ো ডিগ্রি কেলেংকারির কেন্দ্রে ছিল বারাণসীর সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সেখানে নানা অনিয়ম হয়। ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর তা নিয়ে ৯৯ পাতার রিপোর্ট দেয় সিট। তাতে বলা হয়েছিল, ২০০৪ থেকে ‘১৪ সালের মধ্যে সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, এক্সাম কন্ট্রোলার এবং সিস্টেম ম্যানেজাররা কর্তব্যে গাফিলতি দেখিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে সরাসরি অধ্যাপক শুক্লা ও অধ্যাপক পাণ্ডার নাম উল্লেখ করে সিট বলেছে, তাঁরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে ভেরিফিকেশন ডিপার্টমেন্টে নানা অনিয়ম হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে বড় আকারে দুর্নীতি হয়েছে। গত মার্চে উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি লিখে জানায়, তদন্তে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিটের রিপোর্টে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা বর্তমানে কোন পদে আছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয়কেও বলা হয়েছিল, তারা যেন অভিযুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়।