অবশেষে দিল্লীর টিকরি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ মঞ্চের আশপাশ থেকে ব্যারিকেড সরাচ্ছে পুলিশ। কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় অভিযোগ উঠেছিল, টিকরি সীমান্তে যানবাহন বন্ধ করেছে পুলিশই। আন্দোলনকারীদের জন্য সেখানে কারও যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে না। এরপরেই পুলিশ ব্যারিকেড সরাতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, গত বছর বিক্ষোভ মঞ্চের চারপাশে কংক্রিটের ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। তার ওপরে ছিল কাঁটা। গত নভেম্বর থেকে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। সরকারের সমর্থকরা অভিযোগ করেছিলেন, কৃষক আন্দোলনের জন্য যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টও মন্তব্য করে, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু রাস্তা আটকে রাখার অধিকার নেই। তখনই কৃষকরা বলেন, পুলিশই রাস্তা আটকে রেখেছে।
এরপর মঙ্গলবার হরিয়ানার অতিরক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব অরোরা এবং পুলিশের ডিজি পি কে আগরওয়াল টিকরি সীমান্ত পরিদর্শন করেন। কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়। আর সে সময়ই তাঁরা লক্ষ করেন, আন্দোলনকারী কৃষকরা নন, টিকরি সীমান্ত ঘিরে রেখেছে দিল্লী পুলিশই। এরপরে হরিয়ানা ও দিল্লী পুলিশের মধ্যে একদফা বৈঠক হয়। তখনই স্থির হয়, আর্থ মুভার ও বুলডোজারের সাহায্যে টিকরি সীমান্ত থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হবে।