গত বৃহস্পতিবার ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলে রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন জানান, এনএসও কেবল কোনও দেশের সরকারকেই পেগাসাস সফটওয়ার বিক্রি করে। তার আগে ইজরায়েল সরকারের অনুমতি নিতে হয়। আজ, অর্থাৎ শুক্রবার সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রকে কড়া সমালোচনায় বিঁধলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাঁর দাবি, পেগাসাস সফটওয়্যার কিনেছিল মোদী সরকারই। পেগাসাস নিয়ে তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আর ভি রবিচন্দ্রন ও দুই সাইবার বিশেষজ্ঞ থাকছেন এই কমিটিতে। তিন সদস্যের এই কমিটির প্রধান হবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আর বি রবিন্দ্রন। কমিটির বাকি দুই সদস্য অলোক জোশী ও সন্দীপ ওবেরয়। রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, কেন্দ্রকে জবাব দিতে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। সময় দেওয়া সত্ত্বেও পেগাসাস আড়ি কাণ্ড নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করেনি কেন্দ্র। ব্যক্তি-গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সাংবাদিক নয়, প্রত্যেক নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যে আবেদনকারীরা পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই আড়ি কাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাই এই ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। আট সপ্তাহ পর ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে এই মামলার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এঈ প্রেক্ষিতেই চিদম্বরম টুইট করে বলেন, “পেগাসাস বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ন্যায়সঙ্গত। এবার এক এক করে অনেক কিছুই জানা যাবে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, সরকার ছাড়া কাউকে ওই সফটওয়ার বিক্রি করা হয় না। এবার টেলিকম মন্ত্রী কি স্বীকার করবেন যে, তাঁর সরকারই ওই সফটওয়ার কিনেছিল?” গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পেগাসাস নিয়ে তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট যে কমিটি তৈরি করেছে, ইজরায়েলি দূতাবাস কি তার সঙ্গে সহযোগিতা করবে? গিলন বলেন, “এনএসও একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা কোনও সফটওয়ার রফতানি করার আগে সরকারের অনুমতি নেয়। আমরা কেবল কোনও দেশের সরকারকেই ওই সফটওয়ার বিক্রি করার অনুমতি দিই।” পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের এও বলেন, “পেগাসাস নিয়ে এখানে যে বিতর্ক চলছে, তা একেবারেই আপনাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি এই বিতর্কে জড়াতে চাই না।” পরে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এনএসও কোন কোন দেশের সরকারের কাছে পেগাসাস সফটওয়ার বিক্রি করেছে, তা জানা যাবে কি? সেই দেশগুলির কোনও তালিকা কি ইজরায়েল সরকারের কাছে আছে? যদিও ইজরায়েলি দূতাবাস থেকে এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়নি।