‘টিএমসি’-র নামের নতুন ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সম্প্রীতির উদাহরণ তৈরি করলেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, টিএমসি মানে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়। টিএমসি হল ‘টেম্পল-মস্ক-চার্চ’। অর্থাৎ মন্দির, মসজিদ এবং গির্জা। ভারতের সম্প্রীতি, ধর্মীয় ঐক্যের প্রতিভূ।
শুক্রবার গোয়ায় ছিল মমতার প্রথম রাজনৈতিক সভা। সেখানেই তৃণমূলের সম্প্রীতি এবং ধর্ম নিরপেক্ষ অবস্থানকে স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী বললেন, ‘আমি দুর্গাপুজো করি, গণেশ চতুর্থী পালন করি। আবার রমজানেও থাকি। ২৪ ডিসেম্বর রাতে চার্চে গিয়ে প্রার্থনাও করি। তৃণমূল বিভেদের রাজনীতি করে না। আর যারা করে তাদের সঙ্গে সমঝোতাও করে না।’
এই প্রথম রাজ্যের বাইরে কোথাও কর্মিসভা করলেন মমতা। আগামী লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্য স্থির করে তাঁর তৃণমূল সর্বভারতীয় সংগঠনের দিকে জোর দিচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের প্রথম মঞ্চ ছিল ত্রিপুরা। দ্বিতীয়টি গোয়া। ত্রিপুরায় তাঁর দল গেলেও মমতা নিজে যাননি। সেই হিসেবে গোয়া প্রথম ভিনরাজ্য, যেখানে কর্মিসভা করলেন মমতা। সেই মঞ্চেই তৃণমূলকে সম্প্রীতি এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখ হিসেবে তুলে ধরলেন মমতা।
তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার গোয়ায় এসেছেন মমতা। শুক্রবার সকালেই পানাজিতে গোয়ার তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সভা করেন। সেখানে মমতা বলেন, ‘আমি বহিরাগত নই।’ এর পর ‘কোঙ্কণি ভাষায় বলেন, আমি আপনাদের বোনের মত। আমি বাংলার মেয়ে, ভারতের মেয়ে। ভারত যদি আমার মাতৃভূমি হয়ে থাকে। তবে বাংলাও আমার মাতৃভূমি, গোয়াও আমার মাতৃভূমি। আমি প্রথম এখানে আসছি না। ১০ বছর আগে এখানে এসেছিলাম ফিল্ম ফেস্টিভালে। রেলমন্ত্রী হিসেবে এখানে এসেছি। মাডগাও তে। কোঙ্কণ রেলের কাজে এসেছিলাম। সেফটি ডিভাইস উদ্বোধনে’।