গোয়ায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে আসেননি৷ গোয়ায় তিনি বহিরাগতও নন৷ গোয়ায় মাটিতে পা দিয়ে দলীয় বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এমনই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার হুঁশিয়ারি, গোয়ায় বিজেপি-র সাইনবোর্ড দেখতে চান না তিনি।
এ দিন সকালে গোয়া তৃণমূলের বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই তিনি বলেন, ‘গোয়ার সঙ্গে বাংলার তিনটি বিষয়ে মিল আছে৷ মাছ, ফুটবল আর লোকসংস্কৃতি ভালবাসে দুই রাজ্যই আমি গোয়ায় বহিরাগত নই৷ আমি একজন ভারতীয়৷ দেশের যে কোনও প্রান্তে আমি যেতে পারি৷ বাংলা আমার মাতৃভূমি হলে গোয়াও আমার মাতৃভূমি৷’ মমতা আরও বলেন, ‘বাংলা এখন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি রাজ্য৷ আমরা চাই গোয়াও সেরকম শক্তিশালী হয়ে উঠুক, গোয়ায় নতুন ভোর আসুক৷’
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (গোয়া বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁকে কালো পতাকা দেখান বেশ কয়েকজন৷ মমতার ছবি দেওয়া তৃণমূলের হোর্ডিং, পোস্টারও ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো ভাল লক্ষণ৷ তার মানে ওরা ভয় পেয়েছে৷ ওদের কোনও সংস্কৃতি নেই৷ কাল বিমানবন্দরের বাইরে কুড়ি, পঁচিশজন আমাকে কালো পতাকা দেখালো৷ আমি পাল্টা নমস্কার করেছি৷ গোয়ার মানুষ বিজেপি-কে খুব শিগগিরই ব্ল্যাকলিস্ট করবে৷’
বিজেপি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হতে আসিনি৷ কিন্তু দিল্লীর দাদাগিরি আর চলবে না৷ গোয়ায় নতুন ভোর আসবে৷’ মমতার অভিযোগ, গোয়াতেও তৃণমূলকর্মীদের উপরে আক্রমণ করছে বিজেপি৷ এ দিন গোয়ায় গিয়ে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মৎস্যজীবীদের দুর্দশা, মহিলাদের নিরাপত্তার মতো ইস্যু নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী৷ গোয়ায় তৃণমূল যে মহিলাদের ক্ষমতায়ণের উপরে জোর দেবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷ তৃণমূল ক্ষমতায় এলে গোয়ায় মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সবথেকে বেশি জোর দেবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷