হাতে আর একদিনও নেই। শুক্রবার রাত পোহালেই রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন। কিন্তু ওই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির তরফে তারকা প্রচারকদের নিয়ে এসে প্রচার করার কথা থাকলেও সেভাবে কাউকেই দেখা গেল না। দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহ— ৪ কেন্দ্রের মানুষ এই নিয়ে জোর আলোচনা করছেন। অনেকেই বলছেন, হেরে যাওয়ার আগেই যেন হার স্বীকার করে নিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গিরিরাজ সিং, প্রতিমা ভৌমিকের মতো নেতা-নেত্রীদের তারকা প্রচারকদের তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু কারোরই দেখা মেলেনি। যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দু’একবার এইসব কেন্দ্রে এলেও বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন উত্তরের জেলাগুলিতে। ফলে সার্বিকভাবে তেমন গতি পায়নি প্রচার পর্ব। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও দেখা যায়নি। জগন্নাথ সরকার-নিশীথ প্রামাণিককে সেভাবে দেখা যায়নি প্রচার পর্বে। এই পরিস্থিতিতে নীচুতলার কর্মীদের মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘একুশের নির্বাচনের আগে তো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারিই শুরু করেছিলেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি। এটা বুঝতে পেরেই আর তাঁরা এবার এলেন না।’