কালীপুজো, দীপাবলী কিংবা ক্রিসমাস—কোনও উৎসবেই বাজি ফাটানো বা বিক্রি করা যাবে না। বাজি মামলায় শুক্রবার স্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে সময় বেঁধে দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোর কথা বলেছিল তাও এদিন খারিজ করে দিল আদালত।
একটা সময়ে শব্দবাজিতে কান পাতা যেত না। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের গুঁতোয় প্রশাসনিক সক্রিয়তায় তা গত সাত-আট বছরে অনেকটা কমেছে বটে। তবে আতশবাজির রোশনাই থামেনি। কিন্তু এই কোভিড পর্বে আতশবাজিও বিপজ্জনক।
দূষণের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যা সুস্থ মানুষকেও হাঁপিয়ে তোলে। সংক্রমণের মাত্রা কমলেও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাধিক পরিবেশপ্রেমীদের সংগঠনও বাজি না ধরার আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে।
আদালত এদিন বলেছে, প্রদীপ জ্বালানো যাবে। তবে কোনও ধরনের বাজি বিক্রি বা পোড়ানো যাবে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল, দীপাবলীতে রাত্রি রাত ৮টা-১০টা, ছটপুজোর সকালে ৬টা-৮টা পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো যাবে। সেইসঙ্গে ক্রিসমাস, বর্ষবরণ এবং ১ জানুয়ারি ৩৫ মিনিট (রাত্রি ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট) বাজি ফাটাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
কিন্তু আদালত এদিন ধোঁয়াশার কথা উল্লেখ করেছে। বলেছে, সাধারণ মানুষ, পুলিশ কী ভাবে বুঝবেন কোনটা পরিবেশবান্ধব বাজি। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে , বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে আদালতকে এই নির্দেশ দিতে হচ্ছে।