মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার এবং শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতারির পর থেকেই তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। আর তারপরেই এবার ওয়াংখেড়ে এবং এনসিবি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। ইতিমধ্যে একটি ৪ সদস্যের তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মুম্বই পুলিশে তরফে ইতিমধ্যেই চারটি পৃথক তোলাবাজির অভিযোগের তদন্তের জন্য আধিকারিকদের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক এই কথা জানিয়েছেন। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছে, তদন্তকারী দলটি যে চারটি পৃথক অভিযোগ পেয়েছে, অর্থাৎ, এনসিবি মামলার অন্যতম গুরুত্বরপূর্ণ সাক্ষী প্রভাকর সেল এবং আইনজীবী সুধা দ্বিবেদী, কনিষ্ক জৈন এবং নীতিন দেশমুখের দ্বারা দায়ের করা চারটি অভিযোগের আলাদাভাবে তদন্ত করবে। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যে মঙ্গল ও বুধবার সেলের বিবৃতি রেকর্ড করেছে, কিন্তু এখন সমস্ত অভিযোগ আবার এক জায়গায় করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, সহকারী পুলিশ কমিশনার মিলিন্দ খেতলে, পুলিশ পরিদর্শক অজয় সাওয়ান্ত, সহকারী পিআই শ্রীকান্ত কারকর এবং সাব-ইন্সপেক্টর প্রকাশ গাওয়ালি এই তদন্তকারী দলের সদস্য হিসেবে থাকছেন। এই প্রক্রিয়ায়, যদি তদন্তকারী দলটির কোনও সাহায্যের দরকার হয়, তাহলে দলটি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ অঞ্চল) দিলীপ সাওয়ান্তের কাছ থেকে সেই অতিরিক্ত সহায়তা পাবে। এর পাশাপাশি, ডিসিপি হেমরাজ সিংহ বাগুলের কাছ থেকেও সহায়তা পাবেন মুম্বই পুলিশের তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা।
এদিকে, এনসিবির পাঁচ সদস্যের একটি দলও মুম্বই আসে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির তদন্তে। সমীরকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন এনসিবির দিল্লী থেকে আসা আধিকারিকরা। তবে এখনই তাঁকে তদন্তভার থেকে সরাচ্ছে না এনসিবি। আরিয়ান কাণ্ডের তদন্তে আগের মতোই বহাল থাকবেন ওয়াংখেড়ে। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে ওই প্রমোদতরীতে তল্লাশি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়ে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই উঠছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। অন্যদিকে, নবাব মালিকও তাঁর বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপ করা, তোলাবাজি এবং ভুয়ো উপজাতি সার্টিফিকেট দেখিয়ে আসন সংরক্ষণ করার অভিযোগ এনেছেন।