উত্তর কলকাতার কাশীপুর এলাকার ক্লাব কল্পতরু সেবা সমিতি। এখানকার বড় শ্যামাকালী শহর এবং শহরতলির অন্যতম বিখ্যাত কালীপুজো। এবছর এই পুজো পা দিলো ৮৯তম বর্ষে। আগে ছোট করে পুজো হলেও ১৯৯৯ সাল থেকে বাড়ানো হয় পুজোর বহর। শুরু হয় ৩৫ ফুট বড় কালীপ্রতিমার পুজো। যা দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনার দর্শনার্থীরা।
এই পুজোর বিশেষত্ব হল, মায়ের আবাহন যেখানে, বিসর্জনও সেখানেই। প্রতিমা তৈরি হয় ক্লাব মাঠে। উল্টো রথে মায়ের কাঠামো পুজোর পর লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার ভাইফোঁটার পরদিন মাঠের পেছনে পুকুরেই ক্রেনে করে বিসর্জন হয় প্রতিমার। কারণ এত বড় প্রতিমা নিয়ে রাস্তায় শোভাযাত্রা বের করার পুলিশি অনুমতি মেলেনি কখনোই। অগত্যা ভরসা সেই ক্লাবেরই পুকুর।
তবে গত কয়েকবছর ধরে করোনা, লকডাউন এবং পুলিশের অনুমতি নিয়ে ঝঞ্ঝাটের জেরে প্রতিমার উচ্চতা কমেছে। এবছর প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ২৩ ফুট। এমনটাই জানালেন মৃৎশিল্পী সুবল পাল। এর আগে বেশ কয়েকবার বড় প্রতিমা বানানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও কলকাতায় এই প্রথম এত বড় কালীপ্রতিমা বানাচ্ছেন তিনি।
তবে এত বড় ঠাকুর বানানোর ঝক্কিও কম নয়। দিনকে দিন বাড়ছে কাঁচামালের দাম, এদিকে লকডাউনের জেরে পুজো উদ্যোক্তাদের হাতেও মূলধন কম। তাই কাটছাঁট হচ্ছে বাজেটেও। তারমধ্যেই চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আরেক মৃৎশিল্পী পঙ্কজ সাহা জানালেন, ‘সরকার থেকে তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হলেও, তা পূরণ হয়নি।’