গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। এই মুহূর্তে সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলার সময় আদালত উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের কাছে জানতে চায়, লখিমপুর খেরি হিংসার ঘটনায় এত কম সংখ্যক সাক্ষী কেন? ৪৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে সাক্ষী হিসেবে মাত্র ২৩ জনকে বাছা হয়েছে। তার ওপর বয়ান রেকর্ড হয়েছে মাত্র চার জনের। এখনও অবধি হিংসার ঘটনায় কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। সাক্ষীদের যথেষ্ট সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশও দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালীন গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪ জন কৃষক এবং গোলমালে আরও ৪ জনের মৃত্যুর পরেই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়। এই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। এদিন শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, যেখানে হিংসা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখানে এত কম সাক্ষী কেন। তাছাড়া সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাও জানতে চায় আদালত। উত্তরপ্রদেশ সরকারের রিপোর্ট পর্যালোচনার পর বিচারপতিরা মন্তব্য করেছেন, ৬০ জন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ২৩ জনকে বেছে নেওয়া হল কেন। মাত্র চার জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি কেন? রিপোর্টে কেন শুধু চার জনের বয়ান রয়েছে? এ ব্যাপারে আদালত সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মনে হচ্ছে এক্ষেত্রে গড়িমসি হচ্ছে। কোনওভাবেই যেন তা না হয়।