সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে দলের সমস্ত সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার দিল্লীতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মনমোহন সিং-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও। এছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলির ভারপ্রাপ্ত প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিনের বৈঠকের শুরুতেই দলনেত্রী কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও একতা বজায় রাখার অনুরোধ জানান উপস্থিত সকল নেতাকে। ব্যক্তিগত স্বার্থ বা মত দূরে সরিয়ে রেখে সকলে একসঙ্গে মিলে যাতে কাজ করেন, সেই পরামর্শই দেন সোনিয়া গান্ধী। পাঞ্জাব ও ছত্তীসগড়ে দলীয় কোন্দলের উদাহরণ টেনে দলের সভাপতি কার্যত তিরস্কার করেই বলেন, ‘রাজ্যস্তরে নেতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সহতির অভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। আমি আবারও শৃঙ্খলা ও ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছি। ব্যক্তিগত আকাক্ষাকে সরিয়ে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে আমাদের’।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনা ছাড়াও দলের নতুন সদস্য যোগদান অভিযান ও তার জন্য প্রচার নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকেই কংগ্রেসের এই যোগদান কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ অবধি চলবে এই কর্মসূচি। গত ১৬ অক্টোবরের সাংগঠনিক বৈঠকেই স্থির করা হয়েছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ১ নভেম্বর থেকে এই যোগদান কর্মসূচি শুরু করা হবে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে দলে যোগদানে আগ্রহী করার লক্ষ্যে বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।