মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের শুরুতেই খুশির আমেজ ভারত-ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁর বাসিন্দাদের মধ্যে। জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদকে অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। মূলত ভারত-ভুটানের সীমান্ত শহর ও তার আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের জন্যই জয়ঁগা ডেভলপমেন্ট অথরিটি-কে অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর।
জেডিএ সূত্র অনুযায়ী, রবিবারই রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের তহবিলে ১২ কোটি টাকা এসেছে। এই টাকা প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি-র চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এই টাকা জয়গাঁর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই খরচ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “জয়গাঁ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার উন্নয়নে রাস্তা ও নালা তৈরি সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ১২ কোটি টাকা এসেছে। এই টাকায় জয়গাঁ শহরকে সাজিয়ে তোলা হবে।” আগামী দিনে আরও ২৭টি কাজের বরাদ্দের জন্য নগর উন্নয়ন দফতরের কাছে ফের আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু-বছর ধরে এই এলাকা সরকারের উন্নয়ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করে আসছিলেন এলাকাবাসী। যদিও এলাকার উন্নয়নে জেডিএ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে দাবি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার। এলাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েক মাস আগেই রাজ্য সরকারের কাছে তিনি আর্থিক বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছিলেন। অবশেষে সেই আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। একসঙ্গে ১২ কোটি টাকার তহবিল আসায় এলাকার উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছেন জেডিএ অধিকর্তা। তিনি বলেন, “জয়গাঁ-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার ১৮টি রাস্তা নালা সহ তৈরি করা হবে। ওই রাস্তাগুলিতে পিচের প্রলেপ দেওয়া হবে। বৃষ্টি হলে সাধারণত জয়গাঁর গ্যাস গোডাউন, গুম্ফা রোড এলাকাগুলিতে জলজমার সমস্যা দেখা যায়। রাস্তাগুলির উপর পিচের প্রলেপ দেওয়া হলে সেই সমস্যা দূর হবে।”
মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। মূলত বৃষ্টি ও ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এবং উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিতেই তাঁর এই সফর। যদিও এবারে পাহাড় বা ডুয়ার্সে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। শিলিগুড়ি ও কালিম্পং পরিদর্শন করে এবং প্রশাসনিক বৈঠক সেড়েই ফিরে আসবেন তিনি। তবু মুখ্যমন্ত্রী নিজে আলিপুরদুয়ারে না গেলেও জয়গাঁ উন্নয়ন পর্যদ তহবিলে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা পৌঁছনোর মধ্য দিয়ে তিনি সেখানকার মানুষদের পাশে থাকার বার্তাই দিলেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। আনন্দিত জেলাবাসীও।