প্রায় দেড় বছর পর ছাত্র-ছাত্রীরা ফিরবে পুরনো জীবনে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে খুলছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যে সব জায়গায় দুয়ারে সরকার ভোটের জন্য করা যায়নি সেখানে দুয়ারে সরকার হবে। ৪ তারিখে কালীপুজো। ৬ তারিখে ভাইফোঁটা। ১০ আর ১১ তারিখ ছট পুজো। ১৩ তারিখে জগদ্ধাত্রী পুজো। তোমাকে যা করতে হবে ১৫ তারিখ থেকে করতে হবে। স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারেও ১৫ তারিখ থেকেই করে দাও। তার আগে স্কুল কলেজগুলি পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলিও মাথায় রাখতে হবে’।
গত বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনেই চলছে পঠনপাঠন। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক ভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি। বন্ধ করা হয় বেশ কিছু পরীক্ষাও। তার পর করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ২০ মাস পর স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, কালীপুজোর পর থেকেই স্কুল খুলে দেওয়া হবে। তবে তিনি সে সময় বলেছিলেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। মনে করা হচ্ছে, অবশেষে সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ল। এদিন মমতা আরও বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই কিছুটা সময় দিতে হবে স্কুলগুলিকে যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিকাঠামোগত কাজ সেরে ফেলতে পারেন। তার পরেই স্কুল শুরু হবে’।