এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি আমাকে ছোঁবে না। কারণ আমি বিজেপি সাংসদ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের সাংলির এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন গেরুয়া সাংসদ সঞ্জয় পাতিল। খানিকটা রসিকতার সুরেই সঞ্জয় বলেন, ‘অভিজাত গাড়ি কিনতে আমরা ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ লক্ষ টাকার ঋণ নেব। সেই ঋণের টাকা দেখে অবাক হবে ইডি। কিন্তু আমাকে ছোঁবে না। কারণ আমি বিজেপি সাংসদ’।
সম্প্রতি বলিউড ড্রাগ-কাণ্ডে উত্তাল হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজনীতি। বিরোধীদের দলের নেতাদের পিছনে ইডি, সিবিআই-সহ অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা লাগিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তোলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার। একই অভিযোগ ঘুরেফিরেই শোনা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবার মজার ছলে হলেও বিরোধীদের সেই অভিযোগে সিলমোহর বসালেন সাংলির বিজেপি সাংসদ।
এদিকে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই জেলে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। ফের এমন অভিযোগ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ছগন ভুজওয়াল। তিনি বলেছেন, ‘শাহরুখ খান বিজেপিতে যোগ দিলেই ড্রাগ সুগার পাউডার হয়ে যাবে।‘ তাঁর কটাক্ষ, ‘আদানি মুন্দ্রা বন্দরে কয়েক লক্ষ-কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এনসিবি সেই তদন্ত না করে শাহরুখ খানের পিছনে পড়ে রয়েছে।‘
‘সবার আগে তোমাদের পরিচয়, তোমরা ভারতীয়। মানবিকতাই তোমাদের পরম ধর্ম…’, সন্তানদের এই শিক্ষা দিয়েই বড় করে তুলেছেন শাহরুখ খান । আর আজ যখন মাদককাণ্ডে জড়িয়ে আর্থার রোডের জেলে দিন কাটাচ্ছেন ছেলে আরিয়ান খান, তখন সন্তানদের প্রতি কিং খানের সেই বার্তাতেই প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে বেড়াচ্ছেন অনুরাগীরা। মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে তিল তিল করে গড়ে তোলা তিন দশকের সাম্রাজ্যে আজ আঁচ পড়েছে, অনেক আগেই শাহরুখ আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে তাঁর ‘খান’ পদবীর জন্য ভুগতে হতে পারে সন্তানদের। এমন আশঙ্কার কথা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা।