তিনি নিজেকে জননেতা বলে দাবি করেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র বলে সওয়াল করেন। তাঁর জনসভায় ভিড় হবে সেটাই স্বাভাবিক। কারণ তিনি এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হ্যাঁ, তিনি শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারীর কথা হচ্ছে। কিন্তু শান্তিপুর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সমর্থনে জনসভা করতে এসে ফাঁকা সভাস্থলের সম্মুখীন হলেন। আর তখনই মেজাজ হারালেন। যা এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার কার্যত কর্মীশূন্য শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা বিজেপির অন্দরে ফিসফাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে মঞ্চের সামনের অংশ ভরাতেই হিমশিম খেল বিজেপি নেতৃত্ব। এই আসন ধরে রাখতে পারবে তো গেরুয়া শিবির? এই প্রশ্ন উঠে গেল। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার মধ্যেই রয়েছে শান্তিপুর। আগে এই আসন বিজেপির ছিল।
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সমাবেশে কার্যত কর্মীশূন্য ছিল। মঞ্চের সামনের অধিকাংশ জায়গা ফাঁকা পড়েছিল। সে বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা কোভিড বিধি মেনে জনসমাবেশ করছি। যেখানে এক হাজার মানুষের বেশি উপস্থিত থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।’
তবে এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজও হারান। ফাঁকা সভাস্থল কেন? জিজ্ঞেস করতেই শুভেন্দু বলে ওঠেন, ‘আপনি কোন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক?’ সংস্থার পরিচয় দিতেই তিনি মেজাজ হারিয়ে বলেন, ‘এসব চটি–চাঁটা সাংবাদিক।’ এই মন্তব্য এখন ভাইরাল হয়ে পড়েছে।যা নিয়ে এখন নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।