বাংলার ছকেই তৃণমূলে জনসংযোগে নামতে চলেছে তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় যাবেন তৃণমূল নেতারা। থাকবেন তৃণমূলস্তরের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন,’স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছে সরকার। অন্য কোনও দলকে মাঠে নামতে দিচ্ছে না। ঠিক আছে, আমাদের কাছে মানুষকে পৌঁছতে দিচ্ছে না। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছব। বিজেপিকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস। কাউকে ভয় পাই না।’
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোরের টোটকায় শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। নির্দিষ্ট সহায়তা নম্বরে ফোন করে অভাব-অভিযোগ জানানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রাজ্যবাসী। একইসঙ্গে তৃণমূল নেতারাও ঘুরেছেন জেলায় জেলায়। সেই কৌশলেই ত্রিপুরায় নামছে মমতার দল। উত্তর-পূর্বের বাঙালি প্রধান এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই ঘাঁটি গেড়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। বিধানসভা ভোটের পর বারে বারে ত্রিপুরা ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আবহেই বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে নতুন করে কোমর বাঁধছে জোড়াফুল শিবির।
আগরতলায় তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ত্রিপুরাজুড়ে দলের একটানা কর্মসূচি চলবে। ত্রিপুরার ৮ জেলায় প্রচারের জন্য ৫টি দল গঠন করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মমতার বার্তা ছড়িয়ে দেবেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি বিপ্লব দেব প্রশাসনের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হবে।
ত্রিপুরায় এই কর্মসূচিতে বিজেপি বাধা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে নেতৃত্ব।’ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ ক্যাম্পেনের সূচনা করে ঘাসফুল শিবির টুইট করেছে, আমরা বিজেপির ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতিকে ভয় পাই না। ত্রিপুরায় প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা দায়বদ্ধ। ত্রিপুরার কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রচার-গাড়ি রাস্তায় নামিয়েছে জোড়াফুল শিবির। নীল-সাদা গাড়িগুলির গায়ে লেখা – ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল। এই গাড়িতে চড়েই ত্রিপুরার প্রতিটি প্রান্তে পৌছে যেতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।