বৃহস্পতিবার এক কোটির বেশি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁদের অ্যাকাউন্টে এদিন সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের টাকা ঢুকে গিয়েছে।
এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১,০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৯ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কল্পতরু মমতা। প্রতিশ্রুতি মতো মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজও শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাড়াও মিলেছে ব্যাপক। এক মাসেরও কম সময়ে এক কোটিরও বেশি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র আবেদন পত্র জমা পড়েছিল দুয়ারে সরকারের বুথগুলোয়। ক্রমে সেই টাকা ঢুকছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে পুজো উপলক্ষে এবার ২ মাসের টাকা একসঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই খুশির হাওয়া মহিলাদের মধ্যে। অনেক মহিলাই হয়ত আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী। কিন্তু এমনও বহু মহিলা রয়েছেন, যাঁরা খুব মন দিয়ে শুধু সংসার আগলেই থাকেন। স্বামী-সন্তান, সংসারের বাকি পাঁচজনের মুখে হাসি ফোটাতে নিজেদের বহু ইচ্ছাকে অবদমিত করে রাখেন হাসিমুখেই। বাংলার সেই সমস্ত মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।