এর আগে ২০২০ সালে দিল্লী নির্বাচনের আগে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সরানো নিয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মিথ্যার ভিতের ওপর কখনও একটা গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করলেন ফেসবুকের প্রাক্তন আধিকারিক সোফি ঝ্যাং। আগের মতোই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার অনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে ফের মুখ খুললেন তিনি।
চলতি বছর এপ্রিলে সোফি অভিযোগ করেন, ‘দিল্লী নির্বাচনের আগে ফেসবুক এক শ্রেণির ভুয়ো অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পরে ফেসবুক কর্তারা জানতে পারল যে এর পেছনে একজন হেভিওয়েট বিজেপি রাজনীতিবিদ রয়েছেন। তখন তাঁরা এই কাজ থেকে পিছিয়ে আসেন।’ তিনি বলেন, ‘দুটি কংগ্রেস, একটি আম আদমি পার্টি এবং একটি ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি সেল-স্টাইলের ফেক অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্ক চলছিল।’ প্রথম দুটির ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হলেও বিজেপির ফেক অ্যাকাউন্টগুলিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন যে বিজেপির লোকসভার ওই সাংসদ ৫০-৬০টা ফেক অ্যাকাউন্টের একটি নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিলেন। সেটা ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বারবার রিপোর্ট করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নেটওয়ার্কটি সরানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘আম আদমি পার্টির দিল্লিতে একটি নেটওয়ার্ক ছিল। অদ্ভুতভাবে, এই একই নেটওয়ার্ক এক ভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসকে সমর্থনকারী একটি সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।’ তিনি জানান, এই সব অবৈধ অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়েছিল। কংগ্রেসের সাথে সম্পর্কিত দুটি এবং বিজেপির একটি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’ লোকসভার সাংসদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
সোফি বলেন, জাল অ্যাকাউন্টের এই ধরনের নেটওয়ার্কগুলি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে প্রচার করার জন্য তৈরি হয়। অ্যাকাউন্টগুলি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে প্রচার চালায়। বিপুল রিচ তৈরির মাধ্যমে মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোফি ঝাং বলেন, গণতন্ত্র মিথ্যার ভিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকদের যদি তাঁদের কণ্ঠস্বর শোনাতে হয় তবে সরব হতে হবে। যদি তাঁরা মনে করে যে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতমূলকভাবে সেন্সর করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করতে হবে।