ড্রেনের জল পুনরায় ব্যবহার করার ব্যবস্থা শুরু হল এ রাজ্যে। নোংরা জলকে পরিশ্রুত করে পুনরায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হল। সেই কাজের জন্য একটি অত্যন্ত আধুনিক যন্ত্র তৈরির পথে দেশ। দুর্গাপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে এই পরিশ্রুত প্রক্রিয়া সংগঠিত হবে। এই পদ্ধতি কার্যকর হলে তা জলের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করবে।
এছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলে। বাঁশের সাহায্যে জমে থাকা জল পরিস্কারের কাজ বহুদিন ধরেই চলছে ভারতে। ভ্যাকুয়ামের ব্যবহার করেও জল পরিস্কার করার কাজ চলে। সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, গাড়ি থেকে নিষ্কৃত আবর্জনার ফলে এই জমা জলের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এখন এটাই দেখার সিএসআইআর ও সিএমইআরআই এই নতুন টেকনোলজি কতটা কার্যকরি হয়।
একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে এই কাজের জন্য অবশ্যই মাথায় রাখতে হচ্ছে পরিশ্রুত জল যাতে ক্ষতিকর না হয়। সেই জন্য জলের নমুনার প্রাথমিক পরীক্ষার কাজ চলছে সিএসআইআর ও সিএমইআরআই-এর অন্দরে। দেখা হচ্ছে, যে হোস পাইপের মাধ্যমে এই জল ছাড়া হবে তার পেসারের কত লিমিট থাকবে। এছাড়াও সেই জল পরিবেশ ও রাস্তার কোনও ক্ষতি করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রথমেই স্লারি পাম্পের মাধ্যমে ড্রেন থেকে অপরিশোধিত জল তোলা হবে। তারপর সেই জল বিভিন্ন চেম্বারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করা হবে। সব চেম্বারেই ভিন্ন আকৃতির জাল বিস্তার করা থাকবে। সেই জালের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন আকৃতির আবর্জনা আটকে যাবে এক একটি চেম্বারে। তারপর সেই জলের মধ্যে রাসায়নিক পদ্ধতিতে জীবাণুবিহীন করা হবে। সেই জলকে একটি ব্যবহারের জন্য একটি আলাদা চেম্বারে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুনরায় সেই জল ড্রেনে পতিত হবে।