বেআইনি ভাবে দুটি ফাইলে সই করে দেওয়ার জন্য ৩০০ কোটি টাকার ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে! এবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই বিশেষ ফাইলদুটির একটি ছিল আম্বানির অন্যটি আর এক আরএসএসের বড় আধিকারিকের। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সত্যপাল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাঁকে গোয়ায় বদলি করা হয়। এই সময়কালের মধ্যে ফাইলদুটিতে অনুমোদন দিয়ে দিলে তিনি ওই ঘুষের টাকা পেতেন বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সত্যপাল মালিকের একটি ভিডিয়ো টুইটারে প্রকাশিত হয়। তাতেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জম্মু ও কাশ্মীরে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দুটি ফাইল আমার হাতে আসে। একটিতে আম্বানি জড়িত ছিলেন এবং অন্যটিতে সংঘের একজন বিশিষ্ট কর্মকর্তা ছিলেন। আমাকে বলা হয়েছিল যে এই দুটি ফাইলেই স্ক্যাম জড়িয়ে আছে। আমার দফতরের অফিসাররা আমায় বলেছিলেন, ফাইল দুটি ক্লিয়ার করে দেওয়ার জন্য আমি ১৫০ কোটি টাকা করে মোট ৩০০ কোটি টাকা পাব। আমি বলেছিলাম, আমি ৫টা পাঞ্জাবি-পায়জামা নিয়ে এখানে এসেছি, তাই নিয়েই যাব।’ জানা গিয়েছে, রবিবার রাজস্থানে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে এই কথাগুলি বলেন সত্যপাল। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়োই বৃহস্পতিবার টুইটারে প্রকাশিত হয়।
সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল যে ফাইলগুলির কথা উল্লেখ করছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল প্রাক্তন রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক এবং পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্য বিমা সম্পর্কিত। এই বিষয়ে রিলায়েন্স জেনারেল ইনসিওরেন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সেই চুক্তি বাতিল করেছিলেন সত্যপাল। ফাইলে সই করেননি। অন্য ফাইলটি নিয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি। তবে সত্যপাল বলেন, ‘আমি যদি কাশ্মীরে কোনও দুর্নীতি করতাম, ইডি এবং আয়কর বিভাগ আমার বাড়িতে পৌঁছে যেত। এখনও হয়তো যেতে পারে কোনও না কোনও অজুহাতে। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, আমার কোথাও কোনও কিছু লুকোনো নেই।’