পর্ন ফিল্ম দেখতে অস্বীকার করায় ছয় বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ তিন নাবালকের বিরুদ্ধে। অসমের নওগাঁও এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন নাবালককেই গ্রেফতার করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন , অভিযুক্ত তিন নাবালকের বয়স ৮ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। একইসঙ্গে আরও এক অভিযুক্তর বাবাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কালিয়াবরের একটি পাথর খাদানের টয়লেটের মধ্যে থেকে পাওয়া যায় শিশুকন্যাটির রক্তাক্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মেয়েটিকে পাথর দিয়ে বারংবার আঘাত ও থেঁতলে খুন করা হয়েছে তাকে। এমনকী খুনের আগে ওই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহও করে অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ। বহুক্ষণ ধরে নিখোঁজ থাকায় বাচ্চাটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে আত্মীয়রা। পরে উলুওনি থানার নিজোরি গ্রামের কাছেই ওই টয়লেটে মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় , নওগাঁও জেলার পুলিশ টুইট করে জানায়, কালিয়াবরের মিসসায় ছয় বছরের একটি শিশুকন্যার দুর্ভাগ্যজনক খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কিনারা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন নাবালক এবং এক প্রাপ্তবয়স্ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সঙ্গেই পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিনজন নাবালকই পর্ন ফিল্মে আসক্ত। তারা যে জঘন্য ষড়যন্ত্র এবং অপরাধ করেছে তা দেখে বিস্মিত তদন্তকারীরা। যে ভাবে নৃশংস পন্থায় নাবালকরা ওই শিশুকন্যাকে হত্যা করেছে তাতে পুলিশের মনে হয়েছে, ‘এই ঘটনা আমাদের আত্মদর্শন এবং সামাজিক হস্তক্ষেপের সময়’।
নওগাঁও এলাকার পুলিশ সুপার আনন্দ মিশ্রা বলেন, ‘ অভিযুক্তদের দুজনের বয়স ১১ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৮ বছর। তারা মোবাইলে নিয়মিত মোবাইলে পর্ন ফিল্ম দেখত। আমরা ওই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছি। সেটি বিভিন্ন আপত্তিজনক প্রাপ্তবয়স্ক, অশালীন ছবিতে ভর্তি। ওই মোবাইলটি একজন অভিযুক্তর বাবার। আমরা তাকেও গ্রেফতার করেছি।’