করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার মূল হাতিয়ার টিকাকরণ। আর মাত্র ২৭৯ দিনে ১০০ কোটি টিকার গণ্ডি পার করে সেই লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত। সরকারি সূত্রের খবর, এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দিল্লীর লালকেল্লায় দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করা হবে। সেই সঙ্গে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সবমিলিয়ে ১০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার ‘কৃতিত্বকে’ সামনে রেখে কোভিড মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদীর সাফল্য প্রচারে নেমে পড়তে যখন ঢাক-ঢোল নিয়ে তৈরি তাঁর সরকার এবং দল, তখন বিরোধীদের অভিযোগ, ১০০ কোটি ডোজ টিকাকরণ হলেও, ২ ডোজ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও অনেক দেশের তুলনায় বহু পিছিয়ে ভারত।
তাদের দাবি, ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ককে টিকাকরণের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু’টি ডোজ় পেয়েছেন তার মাত্র ২৯ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। অথচ বহু উন্নত দেশেই বেশির ভাগ জনকে দু’টি ডোজ দেওয়া সারা। শুধু তা-ই নয়, অক্টোবরে ফের টিকা দেওয়ার গতি কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা বলছেন, দেশে এখনও পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৭০.৫০ কোটি মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ প্রায় ২৯.১৫ কোটি। অর্থাৎ, দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মাত্র ২ ডোজ টিকা পেয়েছেন। তারপরেও এত প্রচার!
খোদ নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল বলছেন, ‘১০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁলেও এখনও অনেক পথ চলা বাকি।’ এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারের লক্ষ্য ছিল, এ বছরের মধ্যে ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ককে টিকার আওতায় আনা। সেখানে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ একটিও ডোজ পাননি। প্রশ্নের মুখে টিকাকরণের গতিও। দেখা গিয়েছে, জুনের পরে অক্টোবরে টিকাকরণের গতি সব থেকে কমে গিয়েছে। ফলে ১৫ অক্টোবর ১০০ কোটি ডোজের লক্ষ্যমাত্রা নিলেও, তা ছুঁতে প্রায় এক সপ্তাহ বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।