করোনা অতিমারির কারণে গত বছর ভেস্তে যায় রাজ্যে পুরভোটের আয়োজন। সেই ভোট কবে হবে, তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি। তবে উপনির্বাচন পর্ব মিটলে এ বছরের শেষেই পুরভোট সেরে ফেলতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শেষ হবে আগামী ২ নভেম্বর। তারপরে কালীপুজো, ভাইফোঁটা পর্ব মিটলেই ১১২টি পুরসভার ভোটের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেতে পারে। এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছেন কলকাতা-হাওড়া ও বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলররা।
সূত্রের খবর, কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট প্রথম পর্যায়ে ও বাকি ১১২টি পুরসভার নির্বাচন পরে বিভিন্ন পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সবমিলিয়ে দুই থেকে তিনটি পর্যায়ে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার নির্বাচন মিটিয়ে দিতে চায় কমিশন। প্রসঙ্গত, গত বছরই এপ্রিল-মে মাসে পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে পুর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে হাওড়া পুরসভার মেয়াদ ২০১৮ সালের নভেম্বরে শেষ হয়ে গেছে, আবার গত বছর অক্টোবরের মধ্যে বিধাননগর পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বর্তমানে কলকাতা-হাওড়া-বিধাননগর-সহ রাজ্যের প্রায় ১২৮টি পুরসভায় সরকারের নিয়োগ করা পুরপ্রশাসকরা রয়েছেন। চলতি বছর এপ্রিল ও মে মাসের দিকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পুরভোটের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে এই আশঙ্কায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলই। তবে পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চার বিধানসভার উপনির্বাচন মিটলেই বকেয়া পুরভোট সেরে ফেলা হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডিসেম্বরে কলকাতার ১৪৪টি ও হাওড়ার ৬৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হতে পারে। অবশ্য নবগঠিত ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটা পুরসভার ভোট এই ১১২টি পুরসভার নির্বাচনের সঙ্গে হবে কিনা তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নবান্ন।