এবার কেন্দ্রের বিএসএফ কর্মক্ষেত্রের পরিসর বৃদ্ধি ইস্যুতে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। নেওয়া হবে জনগণের মতামতও। এবিষয়ে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “বিএসএফ স্মাগলার ধরার নাম করে গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচার করে। ওদের পরিধি বাড়ানো মানে রাজ্যের অধিকারের ওপর আঘাত হানা।” শুধু তাই নয় সীমান্ত বাহনীকে নিয়ে সৌগত বলেন, “আমরা সংসদে সরব হব। বিএসএফ অমিত শাহের নেতৃত্বে একটি অপদার্থ সংগঠন। অপরাধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া থাকে বলেই স্মাগলার ধরতে পারে না বিএসএফ।”
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের এক জেলা নেতা অলোক চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির আগুন নিয়ে খেলা উচিৎ না। বিএসএফের কর্মক্ষেত্র ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করা একমাত্র বিজেপির রাজনৈতিক মুনাফা লুটতেই। আমরাও আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী শুরু করব এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। আমরা জনগণের মতামত জানতে চাইব।” প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ লাগোয়া ৩ রাজ্য– বাংলা, অসম ও পঞ্জাবে বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্রের পরিসর বাড়িয়ে ১৫ কিলোমিটারের বদলে ৫০ কিলোমিটার করেছে কেন্দ্র।
পাশাপাশি, সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর অবধি এলাকায় তল্লাশি, কিছু বাজেয়াপ্ত করা ও গ্রেফতারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওই ৩ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার ভিতর অবধি এলাকায়, তল্লাশি, অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার করতে পারবে বিএসএফ। এই সিদ্ধান্তকে রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্র, সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটারের বদলে, বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো।”