বিবাহবিচ্ছেদের আগেই দ্বিতীয় বিয়ে। আবার তার উপর দ্বিতীয় স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের অভিযোগ। দু’টি অভিযোগেই গ্রেফতার বাঁকুড়ার সোনামুখী মণ্ডল-২ বিজেপির মণ্ডল সভাপতির দাদা। তার গ্রেফতারিতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে মারধর করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার কুরুমপুর গ্রাম। বিজেপি নেতার দাদাকে গ্রেফতারির ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ধৃত বাঁকুড়ার সোনামুখী মণ্ডল-২ বিজেপি সভাপতি চঞ্চল সরকারের দাদা জয়ন্ত সরকার। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি বিদেশে থাকেন। উৎসবের মরশুমে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল সে। স্ত্রী এবং মেয়েও রয়েছে জয়ন্তর। তা সত্ত্বেও নদীয়ার কল্যাণীর এক মহিলাকে বিয়ে করে বিজেপি মণ্ডল সভাপতির দাদা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই দ্বিতীয় স্ত্রীর উপর অত্যাচার করা শুরু হয়। সম্প্রতি তাঁর বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে কল্যাণী থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কল্যাণী থানার পুলিশ বিজেপি মণ্ডল সভাপতির দাদাকে গ্রেপ্তার করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কল্যাণী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সোনামুখী থানার পুলিশ কুরুমপুরে যায়। জয়ন্ত সরকারকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
বিজেপি নেতার দাদাকে গ্রেফতার করতে গেলে হেনস্তার শিকার হয় পুলিশ। পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয়। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতার পরিজনেরা। তাদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে দিয়েছে। জয়ন্ত সরকারকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশকে মারধরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। এই ঘটনার পর থেকে বিজেপি নেতা চঞ্চল সরকারের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি।