একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বিস্তার এবং নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা। সেই লক্ষ্যেই উত্তর-পূর্বের গণ্ডি ছড়িয়ে এখন গোয়াতেও নজর ঘাসফুলের। আগামী বছরেই দ্বীপ রাজ্যে বিধানসভায় ভোট। আর তাই সেখানে জমি শক্ত করতে চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতেই গোয়া যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই ডেরেক’ও ব্রায়ান গোয়ায় ঘাঁটি গেড়ে আছেন৷ একাধিক ব্যক্তিত্বদের সাথে বৈঠক করেছেন। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জিতেছিল ১৭টি আসন। বিজেপি জিতেছিল ১৩টি আসন। যদিও রাজনৈতিক পালাবদলের পরে, বিজেপি সরকার গঠন করে। তবে বিজেপির একমাত্র শক্তিশালী বিরোধী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তা বোঝাতে পশ্চিমের রাজ্যে এবার সংগঠন গড়তে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, শীঘ্রই গোয়ার একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার, এক অভিনেত্রী-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা অধুনা তৃণমূল নেতা লুইজিনহো ফালেরিও-র হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির আসন বর্তমানে ২৭, কংগ্রেসের ৫, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির ৩, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির হাতে ১, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির হাতে ১ ও নির্দলদের হাতে রয়েছে ৩টি আসন। যেখানে ২০১৭ সালে গোয়ায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭ আসন। এবং বিজেপি পেয়েছিল ১৩ আসন। অন্য বিজেপি বিরোধী দলকে ভোট দিলে সেই দলের বিধায়ক শিবির বদলে ফেলতে পারেন। তৃণমূলকে ভোট দিলে তারা বিজেপি বিরোধী শিবিরেই থাকবে এটা বুঝিয়ে দিতে চায় তৃণমূল।