রাজ্যে উপসর্গহীনদের থেকেই করোনা সংক্রমিত হচ্ছে কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরে। তবে আপাতভাবে তা বোঝা যাচ্ছে না। এমন অবস্থা বেশিদিন চললে ফের করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতে পারে। এই আশঙ্কা মেটাতেই কোভিড পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সবাইকে দিতে হবে। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে জেলাশাসক ও জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে ২৭ স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে উৎসবের জন্য রাতের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই সেই বিধিনিষেধ ফের চালু হয়ে যাবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। অর্থাৎ রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কারফিউ ফের চালু চলেছে। এদিকে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া ও শিলিগুড়ির মতো শহরে উপসর্গহীন কোভিড সংক্রমিত বাড়ছে। সেন্টিনাল সার্ভে করে এমন তথ্য হাতে এসেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। তাই পরীক্ষা আরও বাড়ানোর উপর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাঁর নির্দেশ, বর্তমানে যেভাবে পরীক্ষা চলছে তাতে আসল চিত্র নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই যত পরীক্ষা হবে ততই উপসর্গহীন পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিলবে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আইসোলেশন বা আলাদা করে রাখলেই সমস্যা অনেকটা মিটবে। এই সমস্যা মেটানোর জন্যই প্রতিটি জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেস্ট আরও বাড়াতে হবে।
পাশাপাশি, একইসঙ্গে এদিন কলকাতা-সহ সমস্ত জেলার টিকাকরণের অবস্থা খতিয়ে দেখে নেন। কোথাও কোনও ভ্যাকসিনের সমস্যা বা সিরিঞ্জের অভাব রয়েছে কি না, তা’ও জেনে নেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তার কথায়, “শহর এলাকায় করোনার ভ্যাকসিন দ্রুত লয়ে চলছে। অনেক এলাকায় দ্বিতীয় ডোজও সম্পূর্ণ। এবার গ্রামে ১৮ থেকে তদোর্ধ্ব সমস্ত নাগরিকদের টিকার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিশেষ করে বয়স্ক ও কো-মর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে তাঁদের দ্রুত নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দুটি ডোজ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনওরকম শৈথিল্য চলবে না।” ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, প্রয়োজনে টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।