দলের বিরুদ্ধে আগেই বেসুরো হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, অন্তত ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল্পনা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে দল ছাড়ার জল্পনা নিজেই উস্কে দিলেন অভিনেতা তথা বিজেপির রাজ্য-সহ সভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দীর্ঘ অসুস্থ থাকার পর এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর পরবর্তী পথ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবেন।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী বিজেপি ছাড়ার পরই পদ্মশিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা। বিজেপিত্যাগী অভিনেতার অভিযোগ ছিল, ভোটের টিকিট দিতে তাঁর কাছ থেকে না কি মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন জয়প্রকাশ। তবে শুধু অভিযোগ অস্বীকার করলেই পার পাওয়া যাবে না বলে এদিন বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “যা রটে, তার কিছু তো ঘটে। জয়প্রকাশবাবুর উচিত রাহুলবাবুকে চ্যালেঞ্জ জানানো।”
পাশাপাশি এদিন জয় বলেন, “জয়প্রকাশবাবু আসলে কংগ্রেস থেকে আসা ব্যক্তি। শুনেছিলাম কিছুদিন আগেই কাউকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সামনেই উপনির্বাচন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে।” পাশাপাশি নিজের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে। বলেন, “আমি এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে থেকেছি যে দুর্নীতিতে ভাসার সুযোগ ছিল। কিন্তু, আমার মন কখনও বলেনি দুনম্বরি টাকা রোজগার করব। আমার বাড়ির চৌকাঠ তাই কোনওদিন পুলিশ পার হয়নি।” এরপরই তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “আমি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। তারপর ভাবব কোন দিকে যাব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার তাহলে বিজেপি ছাড়ার তালিকায় খুব শীঘ্রই আরও একটি বড় নাম যোগ হতে চলেছে। জয়ের তৃণমূলে যোগের সম্ভাবনা নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।