দীপাবলি আসতে বাকি দুই সপ্তাহ৷ তার আগে বাংলায় ফের ভোট পুজো৷ সেই পুজোর প্রচারে এবার ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চার-শূন্য করার লক্ষ্যেই ভোট প্রচারে নামতে চলেছে জোড়া ফুল শিবির। আর এই প্রচারে দলের শীর্ষ নেতারাও যাবেন বলে সূত্রের খবর। এবার চার আসনে উপনির্বাচনের পালা।
এই চারটি আসনের দুটিতে আবার বিজেপির জয় হয়েছিল গত বিধানসভা ভোটে। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন খড়দহ এবং গোসাবায় প্রচারে যাবেন তিনি। এরপর ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বাকি দুই কেন্দ্র দিনহাটা ও শান্তিপুরে প্রচার করবেন তিনি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে স্টার প্রচারকদের তালিকা। তাদেরকেও প্রচারে নামতে বলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যেমন ফিরহাদ হাকিম পৌঁছে গিয়েছেন কোচবিহারে। সেখানে দিনহাটায় তিনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। দিনহাটায় জিতেছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তিনি পেয়েছিলেন ১১৬০৩৫ ভোট। হেরে যান তৃণমূলের উদয়ন গুহ। তিনি পান ১১৫৯৭৮ ভোট।
নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ, এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বিধায়কপদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাই এই কেন্দ্রে ভোট। গোসাবা কেন্দ্রে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর। প্রায় ১০৪৭৫৮ ভোট পেয়েছিলেন। হেরে যান বিজেপির প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক। তিনি পেয়েছিলেন ৮১৫১৫ ভোট। বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর মারা যাওয়ায় এখানে ভোট হচ্ছে। খড়দহ কেন্দ্রে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। তিনি পেয়েছিলেন ৮৯৮০৭টি ভোট। হেরে যান বিজেপির প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। তিনি পেয়েছিলেন ৬১৬৬৭ ভোট। কাজল সিনহা মারা যাওয়ায় ভোট হচ্ছে এই কেন্দ্রে।শান্তিপুর কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি পেয়েছিলেন ১০৯৭২২ ভোট। হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে। তিনি পেয়েছিলেন ৯৩৮৪৪ ভোট। জগন্নাথ সরকার সাংসদ থাকতে চান। তাই বিধায়ক হিসাবে তিনি পদত্যাগ করেন। বিজেপিও অবশ্য ভোটের প্রচার শুরু করতে চাইছে। তাদেরও একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী ভোট প্রচার করবেন বলে সূত্রের খবর।