শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম দু’ম্যাচে ড্রয়ের ধাক্কা। কিন্তু দ্রুত তা কাটিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিয়ে শনিবার ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে অষ্টমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। গোলের সংখ্যায় লিয়োনেল মেসিকে ছুঁয়েছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। অথচ কোচ ইগর স্তিমাচ থেকে ফুটবলার— কেউই বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন। সকলেরই পাখির চোখ এখন ২০২৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা। নেপালকে হারানোর পরে শনিবার রাতেই সুনীল বলেছিলেন, “এ বারের সাফ জয়ের তাৎপর্যই আলাদা। প্রথম দু’টি ম্যাচ আমরা একেবারেই ভাল খেলতে পারিনি।” পরে গণমাধ্যমে ভারত অধিনায়ক সুরেশ সিংহ, আব্দুল সাহাল সামাদ-সহ তরুণ ফুটবলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে লিখেছেন, “প্রত্যাশা অনুযায়ী শুরু করতে না পারলেও শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে। দলের প্রত্যেকের জন্য আমি গর্বিত।” যোগ করেন, “সাহাল ও সুরেশের খেলা দারুণ উপভোগ করেছি। তোমরা আমাকে অনুকরণ করেছো। এই ব্যাপারটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের রাজধানী মালে-এর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে শনিবার কয়েক হাজার ভারতীয় সমর্থক ছিলেন। ম্যাচের পরে ট্রফি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দেন গুরপ্রীত সিংহ সাঁধুরাও। টিম হোটেলেও বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার সকালে মলদ্বীপ থেকে ফোনে প্রীতম বললেন, “সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত ট্রফি জিতবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এর জন্য বাঁধনহারা উৎসবে মেতে ওঠার কোনও কারণ নেই। প্রতিযোগিতার শুরুটা আমাদের ভাল না হলেও ঠিক সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।” ছ’বছর আগে তিরুঅনন্তপুরমে সাফ-জয়ী ভারতীয় দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ফাইনালে তাঁর অনবদ্য সেন্টারে মাথা ছুঁইয়েই সুনীল গোল করেছিলেন। এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল খেলতে আগামী ২০শে অক্টোবর গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রীতমের। তিনি যোগ করেছেন, “নিজেদের প্রতি বিশ্বাস ছিল, সাফল্য পাবই।” গুরপ্রীতের কথায়, “ঘরে ফিরল কাপ। আমরা নিজেদের প্রমাণ করতে সফল হয়েছি। গোল না খেয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারার অনুভূতিই আলাদা।”