দেশজুড়ে উৎসবের মরশুমের মধ্যেই বারংবার হামলার ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। রক্তাক্ত হচ্ছে ভূস্বর্গ। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গীদের সন্ধানের চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে সেনা। তবে সোমবার সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আবার টানা আটদিনের নিরন্তর গুলি চালনা এবং তল্লাশি অভিযানের পরেও জঙ্গল এলাকা থেকে উদ্ধার হয়নি কোনও জঙ্গীর মৃতদেহ।
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের সীমানায় অনুপ্রবেশের আগে জঙ্গীদের দলটি সম্ভবত পাকিস্তানের কমান্ডো বাহিনীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এমনকী পুঞ্চের ওই জঙ্গলে জঙ্গীদের দলটির সঙ্গে যদি দু’-একজন পাক কমাণ্ডো থেকে থাকে, তা হলেও তাঁরা খুব একটা বিস্মিত হবেন না। যদিও সোমবার সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, জঙ্গীদের সঙ্গে পাক কম্যান্ডো আছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। একমাত্র দেহ উদ্ধার হলে তবেই এ ব্যাপারে বিবৃতি দেবে সেনাবাহিনী।
পুঞ্চের জঙ্গলে গত আট দিনে জঙ্গীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ন’জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিয়েছেন দু’জন জুনিয়র কমিশনড অফিসারও। পুঞ্চের জঙ্গলে গত সোমবার থেকে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এর মধ্যে গত ১০ অক্টোবর জঙ্গীদের সঙ্গে সেনবাহিনীর গুলিযুদ্ধে এক সেনাকর্তা-সহ পাঁচ সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়।
পরে জঙ্গীদের সন্ধানে ফের তল্লাশি শুরু হলে পুঞ্চের নার খাসের জঙ্গলে গত বৃহস্পতিবার ফের দুই সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হন এক জুনিয়র কমিশনড অফিসার-সহ দু’জন। দু’দিন ধরে পুঞ্চের জঙ্গলে তল্লাশি চালানোর পর ওই দুই সেনাকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। সেনাবাহিনীর যুক্তি, যেভাবে কড়া নিরাপত্তা এড়িয়ে জঙ্গীরা ভারতের সীমানায় প্রবেশ করেছে এবং ৮ দিন ধরে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে, তাতে অনুমান, পাকিস্তানের কমান্ডো বাহিনীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারা।