১৬ বছর বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে জীবন কাটিয়েছেন তিনি। তবে এবার হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণ করলেন দক্ষিণ দিনাজপুরে এক কেএলও জঙ্গী। সোমবারই বালুরঘাটে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন পিন্টু বড়ুয়া কোচ ওরফে সুদীপ সরকার। তাঁর আত্মসমর্পণের খবর নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার। তাঁকে পুনর্বাসন প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসপি রাহুল দে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের বাসিন্দা সুদীপ ২০০৫ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুরী লিবারেশন অর্গানাইজেশনে যোগ দেয়। সংগঠনের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারের দায়িত্ব ছিল তার উপর। কেএলও-র কাজের সূত্রে সুদীপ ওরফে পিন্টু বড়ুয়া নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমারে গিয়েছে সে। ২০১২ সালে এভাবে চোরাপথে যাতায়াতের সময় দার্জিলিংয়ের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য জামিনে ছাড়াও পায় কেএলও-র সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারকারী।
এরপর আবার পিন্টু বড়ুয়া সংগঠনের কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি পিন্টু বড়ুয়া ওরফে সুদীপ সরকার জঙ্গী সংগঠন ছেড়ে আত্মসমর্পণ করার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। এ বিষয়ে দু’পক্ষের কথাবার্তার পর আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সুদীপ। সোমবার বালুরঘাটে জেলা পুলিশের দপ্তরে আত্মসমর্পণ করে। সেসময় দফতরে হাজির ছিলেন জেলার এসপি রাহুল দে। তিনি জানান, সুদীপকে সরকারি চাকরি-সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ দেওয়া হবে দ্রুতই।