সম্প্রতি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার আঁচ পড়েছে এপার বাংলাতেও। ওপার বাংলার কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে পুজো মণ্ডপ এবং ইসকন মন্দিরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে তোলপাড় দুই বাংলাই। সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “কারও যদি কোরানকে অবমাননা করার অধিকার থাকে, তবে আমি আব্বাস সিদ্দিকি এটা বলতে পারি, সেই সকল মানুষের ধড় থেকে গলা আলাদা করে দেওয়ার অধিকার আছে।” তাঁর এই মন্তব্য সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াচ্ছে, এই দাবিতে সরব হয়েছিল বাংলা পক্ষ। এবার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আব্বাসের বিরুদ্ধে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল বাংলা পক্ষের তরফে। তবে শুধু আব্বাস সিদ্দিকি নয়, বিজেপির যুবনেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বিরুদ্ধেও থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
আব্বাসের মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয় বাংলা পক্ষ। সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবি করা হয়েছিল। এবার ঘটনায় সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হল বাংলা পক্ষ। সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা (শহরাঞ্চল)-এর জেলা সম্পাদক পিন্টু রায় বলেন, “আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। কেউ কোনও অন্যায় করলে আইন ব্যবস্থা নেবে।” অন্যদিকে, বাংলাপক্ষের জেলা কমিটির সদস্য সায়ন মিত্র বলেন, “কুমিল্লার ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকি। বাংলায় কোনওভাবেই দাঙ্গা লাগাতে দেওয়া যাবে না।” কেবল আব্বাস সিদ্দিকি নয়, বিজেপির যুব নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে বাংলা পক্ষ। তরুণজ্যোতির ফেসবুক পোস্ট ‘উস্কানিমূলক’ এবং তা বাংলায় ‘অচলাবস্থা’-র সৃষ্টি করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বাংলা পক্ষ।