নেই বিন্দুমাত্র রেহাই। কার্যত রুটিনেই পরিণত হয়েছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। উৎসবের মরসুমেও তা ব্যতিক্রম হচ্ছে না। গত ১২ ও ১৩ই অক্টোবর অপরিবর্তিত থাকার পর ১৪ তারিখ অর্থাৎ, পুজোর নবমী থেকে আজ, রবিবার পর্যন্ত লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল ও ডিজেলের দাম। স্বাভাবিকভাবেই এমন মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। শনিবার রাত ১২টার পর থেকে লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৩৫ পয়সা এবং ডিজেল বেড়েছে ৩৭ পয়সা পর্যন্ত। গতকালই কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম ছাড়িয়ে ছিল ১০৬ টাকার গণ্ডি। এদিন আরও ৩৩ পয়সা বাড়ল পেট্রলমূল্য। আজ এক লিটার পেট্রল মিলছে ১০৬.৪৩ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বেড়ে হল ৯৭.৬৮ টাকা। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি থেকে রাজধানী দিল্লী ও বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়েও।
পাশাপাশি গতকালের মতো এদিনও দিল্লীতে লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য বেড়েছে ৩৫ পয়সা করে। আজ এক লিটার পেট্রল ও ডিজেল কিনতে খরচ যথাক্রমে ১০৫.৮৪ টাকা এবং ৯৪.৫৭ টাকা। ৩৪ পয়সা বেড়ে মুম্বইয়ে লিটারপিছু পেট্রল মূল্য হয়েছে ১১১.৭৭ টাকা। মহারাষ্ট্রের রাজধানীতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৭ পয়সা। ১০২.৫২ টাকায় কিনতে হবে এক লিটার ডিজেল। একই ছবি চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতেও। দুই শহরে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম যথাক্রমে ১০৩.০১ এবং ১০৯.৫৩ টাকা। ডিজেল পাওয়া যাচ্ছে ৯৮.৯২ টাকা এবং ১০০.৩৭ টাকায়।
প্রসঙ্গত, গত তিন সপ্তাহে এ নিয়ে মোট ১৯ বার দাম বাড়ল ডিজেলের। পেট্রলের দাম বাড়ল ১৬ বার। পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া। চূড়ান্ত ভোগান্তি গৃহস্থের। তবে একাধিক বৈঠক ও আলোচনার পরও সরকার জ্বালানির মূল্যের উপর জিএসটি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ রাজ্যগুলিরও এতে সায় ছিল না। চলতি মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। ফলে লাগাতার বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। নিয়মিত এই হারে জ্বালানিমূল্য বৃদ্ধি পেলে শীঘ্রই যে কলকাতায় এক লিটার পেট্রল ১১০ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।