আগামী ৩০শে অক্টোবর উপনির্বাচন হতে চলেছে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে চারটি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল দুটি এবং বিজেপির দখলে ছিল বাকি দুটি। কিন্তু নদীয়ার শান্তিপুর এবং কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের পরেও নিজেদের সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিপদে ইস্তফা দেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। বিজেপি ইতিমধ্যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই সেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০টি আসনে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু গোয়েন্দা রিপোর্টে নাকি বলাই ছিল বিজেপি ১০০ আসনের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারবে না। প্রথমে পদ্ম-সমর্থকরা তা বিশ্বাস না করলেও বাস্তবে সেটাই হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবারেও নাকি তাই রাজ্য নেতৃত্ব এবং গোয়েন্দা রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেই রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে যে দুটি আসনে বিজয়ী প্রার্থীরা জিতেছিলেন সেখানে প্রার্থী বদল করা এবং সংশ্লিষ্ট জয়ী প্রার্থীদের সম্মতি ছাড়াই অন্য প্রার্থী ঠিক করার পাশাপাশি বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার জেরে সেখানকার বিজেপি সংগঠনের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ৩০শে অক্টোবর যে ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে তার কোনোটিতেই নাকি জয়ের সম্ভাবনা নেই বিজেপি প্রার্থীদের।