সিংঘু সীমানায় লখবীর সিংয়ের মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। শুক্রবার রাতে আততায়ী আত্মসমর্পণ করলেও একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। লখবীর কীভাবে, কার সঙ্গে কৃষক আন্দোলনস্থলে পৌঁছলেন, প্রশ্ন তুলেছে লখবীরের পরিবার। একইসঙ্গে পরিীবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁর সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়েও আতান্তরে পড়েছে পরিবার।
নিহতের বোন রাজ কৌর জানিয়েছেন, লখবীর পেশায় ঠিকা শ্রমিক। কাজের সূত্রে বেশিরভাগ দিনই বাড়ির বাইরে থাকতেন তিনি। রাজ আরও জানিয়েছেন, ৬ অক্টোবর ৫০ টাকা ধার নিয়েছিলেন লখবীর। বলেছিলেন, তাঁদের গ্রাম চিমা খুর্দ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের চব্বলে যাবেন। তার পর থেকে পরিবারের কেউ-ই আর লখবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর বোন। কার সঙ্গে লখবীর দিল্লী গিয়েছিলেন পুলিশকে খুঁজে বের করার আর্জি জানিয়েছেন রাজ।
৫-৬ বছর আগেই লখবীরের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। যাদের বয়স ৮ থেকে ১২-এর মধ্যে। তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন লখবীরের পরিবার। যদিও স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পরিবার।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই কাব্বাল সিং জানিয়েছেন, লখবীর কার সঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলেন, তা থুঁজে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনায় কৃষক আন্দোলনে প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর কথায়, ‘অন্যায় হয়েছে। কেউ একজন তাঁকে খুন করে দেহ আন্দোলন মঞ্চের পাশে ঝুলিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা আন্দোলনে প্রভাব ফেলবে না’।