এর আগে ভিন্ন সুর গেয়ে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, মর্যাদা সহকারে কৃষকদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা উচিত আমাদের। লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যার ফলস্বরূপ চলতি মাসেই বিজেপির সাংসদ বরুণ গান্ধীকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়ার পরেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন, চুপ করতে রাজি নন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভাষণের এক ভিডিয়ো টুইট করেন। তাতে বাজপেয়ী সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলেন, কৃষকদের ভয় দেখালে ফল ভাল হবে না।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাজপেয়ীর বয়স যথেষ্ট কম। তিনি বলছেন, ‘আমি সরকারকে সাবধান করে বলতে চাই, কৃষকদের ভয় দেখাবেন না। কৃষকরা ভয় পাবেন না। আমরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কৃষকদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাই না।’ পরে বাজপেয়ী বলেন, ‘আমরা কৃষকদের ন্যায্য দাবি সমর্থন করি। সরকার যদি আমাদের ভয় দেখাতে চায়, আইনের অপব্যবহার করে, আমরাও কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দেব।’ টুইটের শেষে বরুণ লিখেছেন, এক উদারহৃদয় নেতা যা বলেছেন, তা খুবই যুক্তিযুক্ত।
বিজেপির মুখপাত্র হরিশচন্দ্র শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, লখিমপুরের হিংসার পিছনে আছে খলিস্তানিরা। কিন্তু বরুণ গান্ধী তার সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্য পেশ করে বলেন, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ‘অপরাধমূলক অবহেলা’-র জন্যই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। বরুণের বক্তব্য, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতিকদের অপেক্ষা করা উচিত। কারণ ‘মাঝে মাঝে রাজনীতির জন্য পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে।’ তিনবারের সাংসদ বরুণ বলেন, ‘একটি সম্প্রদায়ের মানুষ কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশের স্বার্থে প্রাণ দিয়ে এসেছেন। আমরা যদি তাঁদের সম্পর্কে ঘৃণাসূচক মন্তব্য করি, তাহলে, ঈশ্বর না করুন, শান্তিপূর্ণ মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।’